তখন অস্তিত্ব ছিল না, অনস্তিত্বও না
বাতাস ছিল না, বাতাসের ওপারে মহাকাশ ছিল না
কী আবৃত করেছিল সবকিছুকে? কোথায়? কার নির্দেশে?
মহাজাগতিক জল কি ছিল, অতল গভীর জল?
দিন তখনও রাত্রি থেকে পৃথক হয়নি
সেই একক শ্বাস নিচ্ছিল - বাতাস ছাড়াই, স্বয়ম্ভু,
চরাচরে কোথাও ছিল না আর কিছু
অপরিমেয়, নির্বিশেষ আদিম জলরাশির মতন;
তারপর জেগে উঠলো সেই একক, নির্মোক
কারুণিক উত্তাপ জাগিয়ে তুলল তাকে
সবার প্রথমে আবির্ভাব ঘটল কামনার,
মানসজাত সেই আদিম সৃষ্টিবীজ;
যেসব ঋষিরা খুঁজেছেন নিজেদের অন্তরে-
তাঁরাই জানতে পেরেছেন অস্ত্বিত্বের সঙ্গে অনস্তিত্বের সম্পর্ক
প্রকাশিত হল যা ছিল ওপরে, নীচে আর সবদিকে
উর্বর সৃজনীশক্তি সক্রিয় ছিল সর্বত্র
নীচে ছিল স্থিতি আর ওপরে স্বতঃস্ফূর্ততা
কিন্তু শেষ পর্যন্ত, কে জানে, কেই বা নিখুঁত বলতে পারে
সবকিছু কোথা থেকে এলো, কীকরে সৃষ্টি সম্ভব হয়েছিল,
দেবতারাও নিজেরাই এসেছিলেন সৃষ্টির পরে
তাই কেইবা জানে ঠিক কীভাবে শুরু হয়েছিল সবকিছু
তিনি, নিজে সৃষ্টি করুন বা নাই করুন,
তিনি, যিনি উচ্চতম আকাশ থেকে লক্ষ্য করে চলেছেন
তিনি জানেন, অথবা হয়ত তিনিও জানেননা।
তিনি, যিনি উচ্চতম আকাশ থেকে লক্ষ্য করে চলেছেন
তিনি জানেন, অথবা হয়ত তিনিও জানেননা।
ফোটো সূত্রঃ https://www.nytimes.com/2020/01/30/science/nasa-spitzer-space-telescope.html
No comments:
Post a Comment